.
আফগানিস্তানের নতুন অধ্যায় কেমন হবে
.
ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে মার্কিন ইতিহাসে ভিয়েতনামের পর দ্বিতীয় অবস্থান দখলকারী আফগান যুদ্ধে মার্কিন বিনিয়োগ শুরু হয় মূলত ১৯৭৯ সাল থেকেই। ১৯৭৮ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বামপন্থী সোভিয়েত মতাদর্শিক সরকার ক্ষমতায় আসার বিরুদ্ধে রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো বিদ্রোহ শুরু করে। সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ১৯৭৮ এর ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানস্তান আক্রমণ করে। পরবর্তীতে তারা একটি সমঝোতার মাধ্যমে বাম দলের একজন মধ্যমপন্থীকে নেতাকে ক্ষমতায় বসিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে চাইলেও রক্ষণশীলরা রুশ দখলদারিত্বমূলক উপস্থিতি মেনে না নিয়ে গেরিলা হামলা অব্যাহত রাখে। এর সুযোগে সেই রক্ষণশীল মুজাহিদিনদের পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় সার্বিক সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সোভিয়েত-মুজাহিদিন যুদ্ধ এক দশক চলার পর ১৯৮৯ সালে এই সীমাহীন যুদ্ধ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সৈন্য প্রত্যাহার করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। সৈন্য প্রত্যাহারের পর মুজাহিদিনদের আক্রমণে ১৯৯২ সালে বাম সরকারের পতন হলেও শান্তির মুখ দেখেনি আফগানরা। সরকার পতনের পর মুজিহিদিনদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এর মাঝে মুজাহিদিনদের একটি গ্রুপ মৌলবাদী একটি দল গঠন করে এবং ১৯৯৬ সালে আফাগানিস্তানের সর্ববৃহৎ কাবুল শহর দখল করে নেয়, যাদেরকে বর্তমানে পুরো বিশ্ব তালেবান বলে চিনে। এদেরই ১৯৭৯-৮৯ সময়ে সোভিয়েতের আফগান দখল ঠেকাতে সামরিক সহযোগিতা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র 'অপারেশন সাইক্লোন' পরিচালনা করেছিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের নেতৃত্বে। পরে এই অপারেশনের ফল বুমেরাং হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেই আঘাত করে ২০০১ সালে, যার প্রেক্ষিতে মার্কিনিরা আফগান আগ্রাসন শুরু করে। ‘সন্ত্রাস দমন’ স্লোগান নিয়ে ন্যাটো আফগানিস্তানে ঢুকে রাশিয়া, ইরান ও চীন সীমান্তের কাছাকাছি পাঁচটি বড় সামরিক ঘাঁটি হাজির করে ভূরাজনৈতিকভাবে সাময়িক সফলতা লাভের পর তালেবানদের হারিয়ে আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ দখলের স্বপ্নও দেখেছিল সেসময়, যা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে মার্কিন ইতিহাসে ভিয়েতনামের পর দ্বিতীয় অবস্থান দখলকারী আফগান যুদ্ধে মার্কিন বিনিয়োগ শুরু হয় মূলত ১৯৭৯ সাল থেকেই। ১৯৭৮ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বামপন্থী সোভিয়েত মতাদর্শিক সরকার ক্ষমতায় আসার বিরুদ্ধে রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো বিদ্রোহ শুরু করে। সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ১৯৭৮ এর ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানস্তান আক্রমণ করে। পরবর্তীতে তারা একটি সমঝোতার মাধ্যমে বাম দলের একজন মধ্যমপন্থীকে নেতাকে ক্ষমতায় বসিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে চাইলেও রক্ষণশীলরা রুশ দখলদারিত্বমূলক উপস্থিতি মেনে না নিয়ে গেরিলা হামলা অব্যাহত রাখে। এর সুযোগে সেই রক্ষণশীল মুজাহিদিনদের পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় সার্বিক সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সোভিয়েত-মুজাহিদিন যুদ্ধ এক দশক চলার পর ১৯৮৯ সালে এই সীমাহীন যুদ্ধ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সৈন্য প্রত্যাহার করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। সৈন্য প্রত্যাহারের পর মুজাহিদিনদের আক্রমণে ১৯৯২ সালে বাম সরকারের পতন হলেও শান্তির মুখ দেখেনি আফগানরা। সরকার পতনের পর মুজিহিদিনদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এর মাঝে মুজাহিদিনদের একটি গ্রুপ মৌলবাদী একটি দল গঠন করে এবং ১৯৯৬ সালে আফাগানিস্তানের সর্ববৃহৎ কাবুল শহর দখল করে নেয়, যাদেরকে বর্তমানে পুরো বিশ্ব তালেবান বলে চিনে। এদেরই ১৯৭৯-৮৯ সময়ে সোভিয়েতের আফগান দখল ঠেকাতে সামরিক সহযোগিতা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র 'অপারেশন সাইক্লোন' পরিচালনা করেছিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের নেতৃত্বে। পরে এই অপারেশনের ফল বুমেরাং হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেই আঘাত করে ২০০১ সালে, যার প্রেক্ষিতে মার্কিনিরা আফগান আগ্রাসন শুরু করে। ‘সন্ত্রাস দমন’ স্লোগান নিয়ে ন্যাটো আফগানিস্তানে ঢুকে রাশিয়া, ইরান ও চীন সীমান্তের কাছাকাছি পাঁচটি বড় সামরিক ঘাঁটি হাজির করে ভূরাজনৈতিকভাবে সাময়িক সফলতা লাভের পর তালেবানদের হারিয়ে আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ দখলের স্বপ্নও দেখেছিল সেসময়, যা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।