আজ ২৭ নভেম্বর রাত আট ঘটিকায় বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল "পত্রিকায় লেখা ছাপানোর কলাকৌশল" বিষয়ক কর্মশালা।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং গুণী লেখক আলীউর রহমান এবং বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদিকা লেখিকা নিগার সুলতানা সুপ্তি।
নেজাম উদ্দীনের চমৎকার সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আরমান শেখ। তিনি পাঁচটি ধাপে তাঁর বক্তব্যকে ভাগ করে নবীন লেখকদের দিকনির্দেশনা প্রদান এবং বুদ্ধিজীবী হয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে সকলকে উৎসাহিত করেন।
অতঃপর বিশেষ অতিথির ভূমিকায় নিগার সুলতানা সুপ্তি লেখালেখির জগতের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে নবীন লেখকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদানের পাশাপাশি সেসম্পর্কে বাস্তব কিছু উদাহরণ পেশ করে চমৎকার কিছু দিকনির্দেশনা দেন।
পরিশেষে বক্তব্য প্রদান করেন, প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে হুমায়ুন আহমেদ, আহমদ ছফা থেকে শুরু করে দস্তভয়েস্কির উদাহরণ টেনে নবীন লেখকদের সামনে এটাই উপস্থাপন করেন যে, লিখা প্রকাশ নাহলে কখনো হতাশ হওয়া যাবেনা। হুমায়ুন আহমেদের প্রথম বইটি তিন বছর প্রকাশকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরার পর পরিশেষে প্রকাশিত হয়েছিল প্রকাশকদের প্রতি আহমদ ছফার নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকির মাধ্যমেই। একইভাবেই হতাশায় যেদিন দস্তভয়েস্কি আত্মহত্যা করতে যাবেন, সেদিনই প্রথম তিনি তাঁর লেখা খুঁজে পান পত্রিকায়। এভাবে একের পর এক দুর্দান্ত উদাহরণ টেনে নবীন লেখকদের উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি লেখকদের যাবতীয় জিজ্ঞাসার উত্তর দেন এই গুণী সাংবাদিক।
![]() |
কর্মশালায় বক্তব্যরত প্রধান অতিথি |
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.