গত ২৭ নভেম্বর মধ্যপ্রাচ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল হোতা মুহসিন ফখরিজাদেহকে আবসার্দ শহরের একটি রাস্তায় সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয়। হামলার ধরণ ছিল সেই আগের মতোই। প্রথমে গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, অতঃপর মেশিনগানের গুলিবর্ষণ। উল্লেখ্য যে, ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার এই চোরাগুপ্তা হামলার নীতি ইজরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগে থেকেই অনুসরণ করে আসছে।
ইরানে ফখরিজাদেহ হত্যার নেপথ্যে
.
.
এরপর ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রথম ধাপ হিসেবে একটি মিটিঙের কথা জানা যায়। ১৯৮৭ সালে দুবাই শহরে ইরান একটি মিটিং আয়োজন করে, যেখানে আট জন সদস্যের মধ্যে তিনজন ছিলেন ইরানি, দুইজন পাকিস্তানি এবং তিন জন ইউরোপীয়। ধারণা করা হয়, এর সবাই পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন এবং দুইজন পাকিস্তানির মধ্যে একজন ছিলেন পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক ড• আবদুল কাদির খান।
.
পরবর্তীতে ভগ্ন সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্ত্র এবং যন্ত্রাংশ বিক্রির সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ইরান তার পরমাণু স্থাপনা গড়ে তুলে। এই সম্পর্কে ইজরায়েল প্রথম তথ্য পায় ১৯৯৮ সালের ৮ জুন ইরানের স্বপক্ষত্যাগী একজন বিজ্ঞানী ড• ইফতেখার খানের এফবিআইকে দেয়া তথ্যের মাধ্যমে। এর যাচাই বাছাই চলাকালীন সময়ে চার বছর পর ২০০২ সালে ইরানের বিরোধী দলীয় আন্ডারগ্রাউন্ড এক নেতা সিআইএকে একটি লেপটপ দেয়, যা পরমাণু কেন্দ্রের তথ্যে পরিপূর্ণ ছিল। সর্বশেষ ২০০৪ সালে বিশ্ব সমালোচনার মুখে পাকিস্তানি পরমাণু বিজ্ঞানী পরমাণু ফর্মুলা বিক্রি করে বিপুল অর্থ উপার্জনের কথা স্বীকার করেন একটি টিভি চ্যানেলে।