গত মাসে তুরষ্ক-সিরিয়ার যুদ্ধ ছিল মধ্যপ্রাচ্যে তুরষ্কের নতুনভাবে আবির্ভাবের একটি ঘটনা।কয়েকদিনের এই যুদ্ধে যে দ্রুততার সাথে তুরষ্ক যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজের অবস্থান মজবুত করে,তা পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়।
এরদোগানের চোখে কিসের নেশা?
বিশ্বের নামকরা সমর বিশেষজ্ঞরা এই যুদ্ধে তুরষ্কের সর্বাধিক ব্যবহৃত আধুনিক ড্রোনের ব্যবহার দেখে অভিভূত হয়ে পড়ে।কারণ এই প্রথম কোন দেশ যুদ্ধে এত বেশি ড্রোন ব্যবহার করে এবং আশ্চর্যজনক ফলাফল ছিনিয়ে আনে।বলা হয়,বিশ্বে ড্রোন উৎপাদক দেশগুলোর মধ্যে তুরষ্ক অন্যতম।তারা এই যুদ্ধে এমন কিছু ড্রোন ব্যবহার করেছে যা খুবই হালকা এবং স্বল্প পাল্লায় রাডার ফাঁকি দিয়ে সফলভাবে হামলা চালিয়ে ফিরে আসতে সক্ষম।এসব ড্রোন সিরিয়ান সেনাবাহীনিকে দেয়া রাশিয়ার রাডার সিস্টেম শনাক্ত করে ধ্বংস করার পূর্বেই হামলা চালিয়ে ফিরে যাওয়ার কারণে শত শত সিরিয়ান সেনা নিহত হয় অল্প কয়েকদিনে।
যুদ্ধে এভাবে ব্যাপকহারে ড্রোন ব্যবহার করে দ্রুত জয় লাভ করার কৌশল দেখে স্বয়ং তুর্কি সমরবিদরা বিস্মিত হয়ে যায়।কারণ তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী ড্রোন তৈরি করেছিলো,তবে এই প্রথম কোন যুদ্ধে তা প্রয়োগ করেছিলো,এবং আশানুরূপ ফল পেলো।
এরপর থেকে অনেক দেশের সামরিক বিশেষজ্ঞরা নিজেদের বাহীনিতে অত্যাধিক ড্রোন ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে সরকারকে।
নিজের নতুন যুদ্ধ কৌশল এভাবে বিশ্বে সাড়া ফেলার পর এরদোগান হয়তো সেই ঐতিহাসিক তুর্কি সম্রাজ্য পুনঃস্থাপনের স্বপ্ন দেখা শুরূ করেছেন•••