যুক্তরাষ্ট্রে যখন করোনা পৌঁছায়নি,তখন থেকেই মার্কিনিরা ব্যক্তিগত অস্ত্র কেনা শুরু করেছে।ভাবছেন করোনা মহামারির সংক্রমণের সাথে অস্ত্রের কী সম্পর্ক???
করোনা কেড়ে নেবে সব হাসিখুশি!
আমরা উন্নয়নশীল দেশের অদূরদর্শী এবং অসচেতন সমাজে বসে মৃত্যু দরজায় কড়া নাড়ার আগপর্যন্ত কিছু ভাবতে পারিনা।কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়া,বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকায় করোনার প্রবেশের পরপরই মার্কিনিরা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে।এই প্রস্তুতির মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভূত বিষয় হলো সকলের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অস্ত্র কেনার ধুম•••
এর কারণ হলো,মার্কিনিরা আশা করছে ভবিষ্যতে মহামারি প্রকট আকার ধারণ করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর যখন দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে,মানুষ পকেটে ডলার নিয়ে ঘুরবে কিন্তু পণ্য পাবে না,তখন মানুষ কী করবে???
শুরু হবে একের অন্যের ঘরে হানা দেয়া,লুটপাট,ডাকাতি•••
আর সেই পরিস্থিতির প্রস্তুতি হিসেবে ব্যক্তিগত অস্ত্র সংগ্রহ করেছে সবাই।একেই বলে দূরদর্শীতা।ঘটনা কতটুকু পর্যন্ত গড়াতে পারে তারা আন্দাজ করে নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।
ইতোমধ্যেই আমরা ইতালি স্পেনের মত দেশগুলোতে দেখছি যে সামান্য টয়লেট টিস্যুর জন্যে শহরে হন্যে হয়ে ঘুরছে মানুষ।
আর আমাদের দেশ? দিন কয়েক না যেতেই বিভিন্ন জায়গায় হানাহানি বেড়েছে,অসন্তুষ মানুষের মনে দানা বাঁধছে।আর অলস মস্তিষ্ক তো শয়তানের কারখানা,সেখানে যদি সেই মস্তিষ্ক বাঙালির হয় তাহলে বুঝতেই পারছেন কী হবে•••
![]() |
মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির মুখে! |
যদি এই শ্রমিকগুলো বাড়িতে অবস্থান করত,তারা শহরে যে যেখানে ভাড়া থাকতো সেই বাড়ির মালিকদের ভাড়ার চাপ সহ্য করতে হতো না অতটা,আর নিজের বাড়িতে না খেয়ে মরলেও একটি শান্তি আছে,যেটা এই শহরের নির্মম পরিবেশে নেই।এখন তারা খালি হাতে এসে বসে আছে,মাস শেষ,বাড়িওয়ালাও তার নির্মমতার প্রমাণ দিতে নিত্য নতুন কায়দায় মানসিক নির্যাতন শুরু করছে,কে নেবে এই পরিস্থিতির দায়ভার?এর জন্যে শতভাগ দায়ী সেই মানুষরূপী পিশাচ গার্মেন্টস মালিকরা•••
কিছুদিন পর এই শ্রমিকদের ধৈর্য্যের সীমা ছাড়িয়ে যাবে,কেউ কেউ আত্মহত্যা করবে,কেউ যাবে খারাপ পথে,বেড়ে যাবে চুরি,ছিনতাই।এভাবেই মানুষ পরিণত হবে পশুতে,নিজের প্রয়োজনে,পরিস্থিতির শিকার হয়ে•••
পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে তা এখনো আমাদের ধারণার বাইরে।সবাই ঠান্ডা মাথায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করুন নিজের জন্য,নিজের পরিবারের জন্যে।হাসি ঠাট্টায় সময় পার করলে ভবিষ্যতে কান্নার মাঝে আর হাসার ফুরসত খুঁজে পাবেন না।
সৃষ্টিকর্তাকে ডাকুন,শান্ত থাকুন,সময়কে কাজে লাগান,ভবিষ্যতের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন•••
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.