বিশ্বব্যাপী করোনার দাপট যেমন বাড়ছে,তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাণিজ্যিক/রাজনৈতিক সংঘর্ষ।করোনা পরববর্তী সময়ে সংকট কাটাতে সব দেশ আদা জল খেয়ে মাঠে নামার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করছে,তবে সেই মাঠে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন।ভারত এবং চীন হারাতে যাচ্ছে বিশাল অর্থনৈতিক বাজার,আর বাংলাদেশের সামনে আসছে অপার সম্ভাবনা•••!
সর্বোপরি এই সংকটময় মুহূর্তে করোনাকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কারণ হিসেবে ব্যবহার বিশ্ব সম্প্রদায়কে ব্যথিত করে।আর এর ফলাফল কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো দেখতে পাবো আমরা।
আরব আমিরাতের প্রিন্সেস ইতোমধ্যেই বলেছেন,তারা এক মিলিয়ন ভারতীয়কে বের করে দেবে দেশ থেকে।সৌদির কয়েকজন শেখও এটা নিয়ে কথা বলেছে ইতোমধ্যেই।তারা বলছে ভারত থেকে নির্যাতিতরা যাতে তথ্য প্রমাণ পাঠায়,যার ভিত্তিতে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে।মোদির সাম্প্রদায়িক নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ভারতের 120 বিলিয়ন ডলারের বাজারকে বিলুপ্ত করতে আরব বিশ্ব বিকল্প চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।
অন্যদিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বে আমেরিকার বিশাল বাজার থেকে চীনকে সর্বাত্মকভাবে সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।ভারত হারাবে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার,চীন হারাবে আমেরিকা।আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে তাদের মিত্র কয়েকটি জায়ান্টও চীনের সাথে অর্থনীতি সীমিত করতে বাধ্য করবে।
এসব বাজার ধরতে বিকল্প কারা আছে একটু দেখি।মধ্যপ্রাচ্যের বাজার ধরতে আছে পাকিস্তান,মলয়েশিয়া;আর আমেরিকার বাজারে ভারত,বাংলাদেশ,দক্ষিণ কোরিয়া।প্রথমে আসি পাকিস্তানের কথায়,তারা ভারতের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ধরতে কখনো সক্ষম নয়,হোক সেটা দ্রব্যের মানের কারণে বা পলিসি ম্যাকিং এর কারণে,এইখানে একটা গ্যাপ থাকবে।
অপরদিকে আমেরিকা ভারতকে প্রাধান্য দিবে বাজার দেয়ার ক্ষেত্রে,আর প্রযুক্তিগত বাজার দক্ষিণ কোরিয়াকে দিয়ে পূরণের চেষ্টা করবে।
করোনা পরবর্তী এই বাণিজ্যিক উত্থান পতনে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে অপার সম্ভাবনা।মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপক বাজার নেয়ার সক্ষমতা এবং প্রক্রিয়া বাংলাদেশের আছে।অপরদিকে আমেরিকাতে ইতোমধ্যেই আমাদের ভাল একটা পজিশন আছে।
এখন শুধু বাংলাদেশকে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সম্পূর্ণ বাজারটি ধরতে হবে পাকিস্তানকে টপকে।আমেরিকাতেও আমাদের অনেক সম্ভাবনা তৈরি হবে।তবে আমাদের উচিত যেকোন একদিকে মনোনিবেশ করা।মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ প্রেচেষ্টা অব্যাহত রেখে জাপানকে বাংলাদেশে দাওয়াত দেয়া।ইতিহাস সাক্ষী,তারাই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু।
তবে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি ভারতের সহ্য হবে না সাধারণত(এটাই নিয়ম),তারা বিভিন্নভাবে ব্যাঘাত ঘটাবে আমাদের যাত্রায়।সেক্ষেত্রে আমাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হতে কৃষির পর্যাপ্ত উন্নতি ঘটিয়ে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশের এই ভবিষ্যতের কথা ভেবেই হয়তো IMF আগামী বছর বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ জিডিপি তথা 9•5 অর্জন করার করার কথা বলেছে।চলমান বছরেও যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মত জায়ান্টরা ঋণাত্মক জিডিপিতে থাকবে,সেখানে বাংলাদেশের হবে 2•5 শতাংশ।
এখন শুধু আশঙ্কা,এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে যোগ্য ব্যবস্থাপনা ও পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা।বাংলাদেশে শুধু পররাষ্ট্র ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে যোগ্য লোক বসিয়ে বাকিগুলোতে চোর-ছেঁচড় বসিয়ে দিলেও সম্ভবত এই অগ্রযাত্রা কেউ ধরে রাখতে পারবে না...
অপার সম্ভাবনায় বাংলাদেশ!
আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দেখছি যে,চীন যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব লেগে আছে,যা বর্তমানে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে।অপরদিকে ভারতের ক্ষেত্রে দেখা যায়,বর্তমান সরকার ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার খেতাবকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে একতরফা কর্তৃত্ববাদি উগ্র নীতি গ্রহণ করেছে এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সর্বশেষ ভারতের পক্ষপাতদুষ্ট উগ্র নীতি প্রয়োগ থেকে বাঁচেনি করোনা মহামারীও।দেশব্যাপী উগ্র হিন্দুরা ছড়ায় করোনা মুসলমানদের দ্বারা আগত রোগ,মুসলিমদের মাঝেই এই রোগ বেশি।এই গুজবকে সত্যে পরিণত করার দায়িত্ব নেয় সরকার সমর্থক প্রেস মিডিয়াগুলো।এরপর শুরু হয় মুসলিমদের এক ঘরে করে দেয়ার প্রক্রিয়া,হাসপাতালে চিকিৎসা না দেয়া,ত্রাণ না দেয়া,মারধর ইত্যাদি।মিডিয়ায় ফলাও করে গুজব প্রচারিত হওয়ার সুবাদে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই গুজব এবং তার প্রভাব ফলাও করে ছাপানো হয়;শুরু হয় বিশ্বব্যাপী সমালোচনা,জাতেসংঘের নিন্দা।
সর্বশেষ একটি ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের উগ্র নীতির মুখোশ উন্মোচন করে পুনরায়।কিছুদিন আগে ভারতের একটি বিচারপরতির দল নিজেদের বেতনের টাকা ত্রাণ তহবিলে দান করে।তবে তারা একটি শর্ত দেয়,আর তা হলো এই টাকার ত্রাণ যাতে কোন মুসলিম,তবলীগি,জাহেল না পায়,তা নিশ্চিত করতে হবে।এই তিনটি বেশেষণই ঐ শর্তে ব্যবহৃত হয়।
ঘটনাক্রমে মিডিয়া প্রতিবেদনে বের হয়ে আসে,ঐ বিচারপতির দলটি এমন একটি প্যানেলে দায়িত্বরত আছেন,যা খুবই স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ।এনারসি তথা জাতীয় নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া ভারতীয়রা আপিল করার পর যে বিচারপতির প্যানেল তার রায় দিবে,এটি ছিল সেই প্যানেল।তখন ভারতব্যাপী সুশীল সমাজ প্রশ্ন তোলে,এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে এই ধরণের উগ্রদের বসানোর কারণ কী?যারা ত্রাণ দিতেও গুজবে বিশ্বাস করে এবং ঘোষণা দিয়ে ধর্মীয় পক্ষপাত প্রদর্শন করে।
সর্বশেষ ভারতের পক্ষপাতদুষ্ট উগ্র নীতি প্রয়োগ থেকে বাঁচেনি করোনা মহামারীও।দেশব্যাপী উগ্র হিন্দুরা ছড়ায় করোনা মুসলমানদের দ্বারা আগত রোগ,মুসলিমদের মাঝেই এই রোগ বেশি।এই গুজবকে সত্যে পরিণত করার দায়িত্ব নেয় সরকার সমর্থক প্রেস মিডিয়াগুলো।এরপর শুরু হয় মুসলিমদের এক ঘরে করে দেয়ার প্রক্রিয়া,হাসপাতালে চিকিৎসা না দেয়া,ত্রাণ না দেয়া,মারধর ইত্যাদি।মিডিয়ায় ফলাও করে গুজব প্রচারিত হওয়ার সুবাদে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই গুজব এবং তার প্রভাব ফলাও করে ছাপানো হয়;শুরু হয় বিশ্বব্যাপী সমালোচনা,জাতেসংঘের নিন্দা।
সর্বশেষ একটি ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের উগ্র নীতির মুখোশ উন্মোচন করে পুনরায়।কিছুদিন আগে ভারতের একটি বিচারপরতির দল নিজেদের বেতনের টাকা ত্রাণ তহবিলে দান করে।তবে তারা একটি শর্ত দেয়,আর তা হলো এই টাকার ত্রাণ যাতে কোন মুসলিম,তবলীগি,জাহেল না পায়,তা নিশ্চিত করতে হবে।এই তিনটি বেশেষণই ঐ শর্তে ব্যবহৃত হয়।
ঘটনাক্রমে মিডিয়া প্রতিবেদনে বের হয়ে আসে,ঐ বিচারপতির দলটি এমন একটি প্যানেলে দায়িত্বরত আছেন,যা খুবই স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ।এনারসি তথা জাতীয় নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া ভারতীয়রা আপিল করার পর যে বিচারপতির প্যানেল তার রায় দিবে,এটি ছিল সেই প্যানেল।তখন ভারতব্যাপী সুশীল সমাজ প্রশ্ন তোলে,এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে এই ধরণের উগ্রদের বসানোর কারণ কী?যারা ত্রাণ দিতেও গুজবে বিশ্বাস করে এবং ঘোষণা দিয়ে ধর্মীয় পক্ষপাত প্রদর্শন করে।
আরব আমিরাতের প্রিন্সেস ইতোমধ্যেই বলেছেন,তারা এক মিলিয়ন ভারতীয়কে বের করে দেবে দেশ থেকে।সৌদির কয়েকজন শেখও এটা নিয়ে কথা বলেছে ইতোমধ্যেই।তারা বলছে ভারত থেকে নির্যাতিতরা যাতে তথ্য প্রমাণ পাঠায়,যার ভিত্তিতে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে।মোদির সাম্প্রদায়িক নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ভারতের 120 বিলিয়ন ডলারের বাজারকে বিলুপ্ত করতে আরব বিশ্ব বিকল্প চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।
অন্যদিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বে আমেরিকার বিশাল বাজার থেকে চীনকে সর্বাত্মকভাবে সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।ভারত হারাবে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার,চীন হারাবে আমেরিকা।আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে তাদের মিত্র কয়েকটি জায়ান্টও চীনের সাথে অর্থনীতি সীমিত করতে বাধ্য করবে।
এসব বাজার ধরতে বিকল্প কারা আছে একটু দেখি।মধ্যপ্রাচ্যের বাজার ধরতে আছে পাকিস্তান,মলয়েশিয়া;আর আমেরিকার বাজারে ভারত,বাংলাদেশ,দক্ষিণ কোরিয়া।প্রথমে আসি পাকিস্তানের কথায়,তারা ভারতের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ধরতে কখনো সক্ষম নয়,হোক সেটা দ্রব্যের মানের কারণে বা পলিসি ম্যাকিং এর কারণে,এইখানে একটা গ্যাপ থাকবে।
অপরদিকে আমেরিকা ভারতকে প্রাধান্য দিবে বাজার দেয়ার ক্ষেত্রে,আর প্রযুক্তিগত বাজার দক্ষিণ কোরিয়াকে দিয়ে পূরণের চেষ্টা করবে।
করোনা পরবর্তী এই বাণিজ্যিক উত্থান পতনে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে অপার সম্ভাবনা।মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপক বাজার নেয়ার সক্ষমতা এবং প্রক্রিয়া বাংলাদেশের আছে।অপরদিকে আমেরিকাতে ইতোমধ্যেই আমাদের ভাল একটা পজিশন আছে।
এখন শুধু বাংলাদেশকে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সম্পূর্ণ বাজারটি ধরতে হবে পাকিস্তানকে টপকে।আমেরিকাতেও আমাদের অনেক সম্ভাবনা তৈরি হবে।তবে আমাদের উচিত যেকোন একদিকে মনোনিবেশ করা।মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ প্রেচেষ্টা অব্যাহত রেখে জাপানকে বাংলাদেশে দাওয়াত দেয়া।ইতিহাস সাক্ষী,তারাই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু।
তবে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি ভারতের সহ্য হবে না সাধারণত(এটাই নিয়ম),তারা বিভিন্নভাবে ব্যাঘাত ঘটাবে আমাদের যাত্রায়।সেক্ষেত্রে আমাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হতে কৃষির পর্যাপ্ত উন্নতি ঘটিয়ে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশের এই ভবিষ্যতের কথা ভেবেই হয়তো IMF আগামী বছর বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ জিডিপি তথা 9•5 অর্জন করার করার কথা বলেছে।চলমান বছরেও যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মত জায়ান্টরা ঋণাত্মক জিডিপিতে থাকবে,সেখানে বাংলাদেশের হবে 2•5 শতাংশ।
এখন শুধু আশঙ্কা,এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে যোগ্য ব্যবস্থাপনা ও পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা।বাংলাদেশে শুধু পররাষ্ট্র ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে যোগ্য লোক বসিয়ে বাকিগুলোতে চোর-ছেঁচড় বসিয়ে দিলেও সম্ভবত এই অগ্রযাত্রা কেউ ধরে রাখতে পারবে না...
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.