বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র করোনা সংক্রমণের মাত্রার দিক থেকে বিশ্বে প্রথম।মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে দ্রুত,জনগণ ভীত-সন্ত্রস্ত।অপরদিকে করোনার আগ্রাসনে ইরানের অবস্থাও নাকাল।
করোনার সুযোগে মার্কিন যুদ্ধপ্রস্তুতি!
শত শত মানুষ ইরানে প্রতি দিন মারা যাচ্ছে,এক একটি গণকবরে কয়েক'শ মানুষ কবর দিয়েও ফুরসত পাচ্ছে না তারা।এমন সংকটময় মুহূর্তে এই মহামারী রোধে সামান্য প্রয়াস যেই ওষুধ,সেই মিডিসিন আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা বলবত রেখে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের কলুষিত চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বকে।
জি 20 সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা প্রথম কোন বিষয়ে একমত হল,আর তা হলো করোনা।এমন পরিস্থিতিতে যেখানে বিশ্ব মানবতা আজ হুমকির মুখে,সেই অবস্থায় বিশ্ব নেতাদের ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে মানবতা দেখানোর আহবানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন করে অবরোধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আসুন এসবকিছুর পেছনে তাদের উদ্দেশ্য কী একটু পর্যালোচনা করি।মূলত বিশ্বব্যাপী করোনার থাবাকে মোক্ষম সুযোগ হিসেবে দেখছে ট্রাম্প।মানুষকে মৃত্যুর মুখ ধরে রেখে নিজের স্বার্থ আদায় করার মত নৃশংস ইতিহাস তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র।ইরানে ওষুধের অভাবে শত শত মানুষ মারা যাওয়ায় ইরান সরকার টাল সামলাতে ব্যস্ত যখন,তখন ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এবং ইরাকে নতুন করে নিজেদের ক্ষতি সামলাতে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
জেনারেল সোলেমানি হত্যার ক্ষতি সুদে আসলে পুষিয়ে নিতে ইরান যে নকশা অনুযায়ী গত কয়েক মাস ধরে এগিয়েছে,সেই হিসেব মতে তারা অনেকটা সফল।ইরাকে প্রথমে তারা মার্কিন ঘাঁটিতে সাত ঘন্টা ব্যাপী রকেট হামলা করে দুই'শ সেনাকে হত্যা করে।সেই থেকে এখন পর্যন্ত দফায় দফায় মোট 26 বার রকেট হামলা করেছে ইরান।পরের হামলাগুলোতে তেমন বেশি মানুষ হত্যা না করে মার্কিন কনসুলেটের আশে পাশে হামলা করে মার্কিন সেনাদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করেছে তারা।এক্ষেত্রেও বলা যায় তারা সফল,কারণ এসব হামলার মাঝে কিছু হামলা এমন ছিল যা কখনো সম্ভব হবে বলে ভাবেনি মার্কিন সেনারা।যার একটি হলো মার্কিন রাডার ফাঁকি দিয়ে দিনে দুপুরে রকেট হামলা,যা ইউএস সেনাদের মাঝে ব্যাপক প্রাণভীতি সৃষ্টি করেছে।
কিছুদিন আগে ইরাকে অবস্থানরত এক সেনা সাক্ষাৎকারে জানায়,তারা সেখানে এক মুহূর্তও নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না,তারা ঘুমের মাঝেও রকেট হামলার ভয়ে আঁতকে উঠেন;আর এটাই হলো ইরানের সফলতা।ফলস্বরূপ দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্র ছোট ছোট অনেক ঘাঁটি বন্ধ করে দিয়ে সেসব সেনাদের বড় ঘাঁটিতে নিয়ে আসছে।
এছাড়াও ইরাকের সংসদে ইরান তার সমর্থকদের মাধ্যমে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে,যাকে কাজে লাগিয়ে ইরাকের পার্লামেন্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আইন পাশ করিয়ে নিয়েছে তারা।এভাবে ধীরে ধীরে ইরাকেও যুক্তরাষ্ট্রের সব দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক ও একটি বড় দুঃসংবাদ বলে ধরে নেয়া যায়।
এছাড়াও ইরাকের সংসদে ইরান তার সমর্থকদের মাধ্যমে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে,যাকে কাজে লাগিয়ে ইরাকের পার্লামেন্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আইন পাশ করিয়ে নিয়েছে তারা।এভাবে ধীরে ধীরে ইরাকেও যুক্তরাষ্ট্রের সব দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক ও একটি বড় দুঃসংবাদ বলে ধরে নেয়া যায়।