আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। সধারণত আফগান যুদ্ধে তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন চুক্তি বা খবর বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্বস্থির বার্তা বয়ে নিয়ে আসে।
বর্তমানে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার হতে যাওয়া চুক্তিটি সেপ্টেম্বরে হওয়া প্রথাগত কোন চুক্তি নয়। বরং কয়েক স্তরে হতে যাওয়া ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো এক সপ্তাহ উভয় পক্ষ কোন সামরিক সংঘাতে জড়াবে না,যা বর্তমানে চলছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী এই সপ্তাহ সঠিকভাবে শেষ হলে কাতারের দোহায় একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের,যা গত সেপ্টেম্বরে ক্যাম্প ডেভিডে হওয়ার কথা।
তবে আফগান যুদ্ধে কোন চুক্তি বা সমঝোতায় সবসময় আটটি প্রশ্নের আবির্ভাব ঘটে। আর সেগুলো হলো:-
●চুক্তিতে কি থাকছে?
আর এখন এই আফগান চুক্তিতে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পাকিস্তানকে পাশে চাইছে ট্রাম্প; যার প্রমাণ হলো ভারতে গিয়ে পাকিস্তানের গুণগান করা। আর এটা সত্যি যে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভৌগলিক এবং সামরিক অবস্থান যথেষ্ট যুতসই। তবে এই চুক্তিতে ইরানেরও একটি অংশ থাকার কথা যা থেকে ইরানকে দূরে রাখতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চুক্তিতে ইরানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্প্রতি একজন বিশ্বনেতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
অপরদিকে বলাবাহুল্য যে, সিরিয়া থেকেও যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। ফিলিস্তিনও তাদের অসলো চুক্তি থেকে বেরিয়ে তা আর মানবে না বলে জানিয়েছে। ইরানেও যাবতীয় মার্কিন প্রচেষ্টা নিস্ফলতায় পর্যবসিত হয়েছে•••
আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়া
বর্তমানে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার হতে যাওয়া চুক্তিটি সেপ্টেম্বরে হওয়া প্রথাগত কোন চুক্তি নয়। বরং কয়েক স্তরে হতে যাওয়া ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো এক সপ্তাহ উভয় পক্ষ কোন সামরিক সংঘাতে জড়াবে না,যা বর্তমানে চলছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী এই সপ্তাহ সঠিকভাবে শেষ হলে কাতারের দোহায় একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের,যা গত সেপ্টেম্বরে ক্যাম্প ডেভিডে হওয়ার কথা।
তবে আফগান যুদ্ধে কোন চুক্তি বা সমঝোতায় সবসময় আটটি প্রশ্নের আবির্ভাব ঘটে। আর সেগুলো হলো:-
●চুক্তিতে কি থাকছে?
●এটি কি যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়?
●এটি কি তালেবানের বিজয়?
●এটি কি তালেবানের বিজয়?
●ন্যাটোর গড়ে তোলা আফগান সরকারের কি হবে?
●ঠিক এই সময়ে কেন তড়িঘড়ি করে এই চুক্তি?
●প্রতিবেশি কার কি চাওয়া?
●ঠিক এই সময়ে কেন তড়িঘড়ি করে এই চুক্তি?
●প্রতিবেশি কার কি চাওয়া?
আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মসমর্পণ
আবার এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সৈন্য তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নিয়ে যাবে না, তাবলেবানও তাদের ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান গড়ে তুলতে পারবে না। তবে চুক্তিটি উভয় কাজেরই প্রারম্ভ•••
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম যুদ্ধ হল এই আফগান যুদ্ধ। সেখানে বর্তমানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য, যা ২০১১ সালে ছিল এক লক্ষের অধিক। এসব সৈন্যের প্রতিজনের পেছনে বাৎসরিক ব্যায় হলো দশ লক্ষ ডলার! ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপ মতে, ২০০১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যায় হয়েছে ৯৭৫ বিলিয়ন ডলার! এবং সৈন্য নিহত হয়েছে ২,৩০০ আহত হয়েছে ২০,০০০ এর অধিক।
আজ এই পর্যায়ে এসে যুক্তরাষ্ট্রের এই চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়াটা বিদায়ী বেশে যাওয়া নয়; তাদেরকে নিজ দেশের কাছে জবাবদিহি করতে হবে কেন তারা আফগানিস্তানে এসেছিল? কিসের আশায় এবং কী পেল•••
আজ এই পর্যায়ে এসে যুক্তরাষ্ট্রের এই চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়াটা বিদায়ী বেশে যাওয়া নয়; তাদেরকে নিজ দেশের কাছে জবাবদিহি করতে হবে কেন তারা আফগানিস্তানে এসেছিল? কিসের আশায় এবং কী পেল•••
তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি
সর্বশেষ মার্কিনিদের মাথায় বাজ পড়ে তখন,যখন নিউয়র্ক টাইমসে তালেবান নেতা সিরাজুদ্দীন হক্কানীর লেখা ছাপানো হয়! একসময় যুক্তরাষ্ট্র এই হক্কানীর মাথার মূল্য নির্ধারণ করেছিল ৫০ লাখ ডলার!আর এখন এই আফগান চুক্তিতে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পাকিস্তানকে পাশে চাইছে ট্রাম্প; যার প্রমাণ হলো ভারতে গিয়ে পাকিস্তানের গুণগান করা। আর এটা সত্যি যে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভৌগলিক এবং সামরিক অবস্থান যথেষ্ট যুতসই। তবে এই চুক্তিতে ইরানেরও একটি অংশ থাকার কথা যা থেকে ইরানকে দূরে রাখতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চুক্তিতে ইরানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্প্রতি একজন বিশ্বনেতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
অপরদিকে বলাবাহুল্য যে, সিরিয়া থেকেও যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। ফিলিস্তিনও তাদের অসলো চুক্তি থেকে বেরিয়ে তা আর মানবে না বলে জানিয়েছে। ইরানেও যাবতীয় মার্কিন প্রচেষ্টা নিস্ফলতায় পর্যবসিত হয়েছে•••
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.