শিক্ষিত বলতে আমরা সবাই যা বুঝি তা হল,যত ডিগ্রি/শিক্ষা,তত শিক্ষিত;এই ধারণা আমাদের মাথায় গেঁথে গেছে।কিন্তু শিক্ষা বলতে মূলত বোঝায় আচরণের অপেক্ষাকৃত স্থায়ী ও প্রত্যাশিত পরিবর্তন।আর মূল উদ্দেশ্য হল মূল্যবোধ জাগানো এবং ব্যক্তির গুণাবলীর যথার্থ বিকাশ।
শিক্ষা ও শিক্ষিত
উদ্দেশ্য এবং সংজ্ঞায় কোথাও বই-পুস্তকের শিক্ষার কথা বলা হয়নি,অথচ আমরা মানুষের শিক্ষার পরিমাপ করি ডিগ্রি দিয়ে।যদি আমরা মানুষের আচরণ দ্বারা তাকে সম্মান দেয়া শিখতাম তাহলে এই সমাজ/দেশ অন্যরকম হত,যেখানে থাকত সুন্দর মনের,উত্তম চরিত্রের জনগণ।শিক্ষিত মানুষ বিনয়ী হবেন এটাই কাম্য,কিন্তু তিনি শিক্ষিত বলে নিম্নস্তরের লোকদের সাথে রূঢ় আচরণ করবেন,শিক্ষিত শ্রেণীর সাথে ভাল ব্যবহার করবেন,এটা কখনো কাম্য নয়।তখন বুঝে নিতে হবে তার মাঝে শিক্ষার কোন প্রভাবই পড়েনি,বরং তিনি শিক্ষাকে কুপথে ব্যবহার করছেন।একজন শিক্ষিত লোক যখন রিকশাওয়ালার সাথে বিনয়ের সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলে,তখন রিকশাওয়ালা ভাবেন,শিক্ষিত লোকেরা কতইনা ভাল,আমি রিকশাওয়ালার সাথেই কত সুন্দর ব্যবহার করল,আমার শ্রেণীর হয়েও অন্য রিকশাওয়লারা কখনো এত সুন্দর ব্যবহার করেনি যতটা শিক্ষিত লোকটি করলেন।আমি আমার সন্তানদের শিক্ষিত করব,পড়াব•••
আর একজন ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে যখন তাঁকে নীচ ভেবে খারাপ ব্যবহার করে,তখন তিনি মুখ বুঝে সহ্য করলেও ভাবেন,শিক্ষিত লোকেরা কত নিকৃষ্ট,বড়জনের সম্মান পর্যন্ত জানে না,দুর্ব্যবহারই তাদের ভূষণ,আমার সন্তানদের পড়ালেখা শেখালে সেও একদিন আমার সাথে এমন আচরণ করবে,এর চেয়ে পড়ালেখা না করানোই ভাল•••
সুতরাং বোঝা উচিত যে,একজন মানুষের আচরণের প্রভাব অনেকে উপরেই পড়ে।
আমি মনেকরি,শিক্ষার অপর নাম বিনয়,আর যিনি শিক্ষিত হবেন তিনি বিনয়ী হবেন•••
বইয়েতো আছেই•••"দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।"
দুর্জনকে পরিত্যাগ করুন,অন্যকেও পরিত্যাগ করতে শেখান,তাহলে সমাজের দুর্জন লোকদের থেকে দুর্জনতা পালাবে•••
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.