২০১৫ সালে ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল বিশ্বের ছয়টি পরাশক্তি। সেসময় ওবামা প্রশাসন আত্মবিশ্বাসী ছিল যে ইরান কোনও গোপন পারমাণবিক কর্মকাণ্ড চালাবে না, ইরানও তা নিশ্চিত করে।
বিশ্ব আজ যে ইরানকে নিয়ে উত্তাল,যার কারণে বিশ্লেষকরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আশঙ্কা করছেন। ইরানের যে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব নেতারা সর্বদাই সরব এবং আতঙ্কিত,আসুন জেনে নিই তার ইতিহাস•••
🔛সিরিয়ার পারমাণবিক ইতিহাস
ইরানের পারমাণবিক ইতিহাস
বিশ্ব আজ যে ইরানকে নিয়ে উত্তাল,যার কারণে বিশ্লেষকরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আশঙ্কা করছেন। ইরানের যে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব নেতারা সর্বদাই সরব এবং আতঙ্কিত,আসুন জেনে নিই তার ইতিহাস•••
ইরানের যে পারমাণবিক কর্মসূচি চলছে বিভিন্ন মাত্রায়, তার শুরু কখন? এবং কাদের সহযোগিতায় এটি সম্পাদিত হয়েছে? যুগ যুগ ধরে যদি এই কর্মসূচি চলে, তাহলে কেন এখনো তারা পারমাণবিক বোমার অধিকারী হতে পারল না???
![]() |
ইরানের পারমাণবিক ইতিহাস |
প্রথমেই বলে রাখি,ইরান একসময় ইসরায়েলের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল। ১৯৭০ সালে ইরানের মডারেট সরকার প্রধান রেজা শাহ পাহলভি শান্তিপূর্ণ ও সামরিক প্রয়োজনে দুটি ছোট পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করে। তখন এটা নিয়ে ইসরায়েলের মাথা ব্যাথা তো দূরে থাক, বরং বিভিন্ন ধরণের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করতো ইরানকে। এমনকি ইসরাঈল এমন ক্ষেপণাস্ত্র ইরানকে দিতে চাইলো যাতে পারমাণবিক ওয়্যারহেড স্থাপন করা যায়! কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রদানের পূর্বেই ইরানে বিপ্লব সংঘটিত হয়।
এছাড়াও ১৯৭৭ সালে ইরানের জেনারেল হাসান তৌকিনের সম্মানে ইসরায়েলের রাজধানীতে রাজকীয় পার্টির আয়োজন করা হয়।
কিন্তু এরপরে হঠাৎ ইরানে ধর্মীয় বিপ্লব শুরু হয় এবং বিপ্লবে রেজা শাহ পাহলভি পালিয়ে বাঁচেন, ক্ষমতায় বসেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি ঘোষণা করলেন, ইসলামে পারমাণবিক কর্মসূচির বৈধতা নেই,ফলে সব চুল্লি ধ্বংস করা হলো।
কিছু সময় পার না হতেই ১৯৮০ সালে ইরান ইরাকের সাথে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল। যুদ্ধে সাদ্দাম হোসাইনের ইরানিদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ এবং ইরাকের বিরুদ্ধে ইরানের অপ্রচলিত অস্ত্রশস্ত্রের প্রয়োগ আয়াতুল্লাহ খামেনিকে ক্ষুদ্ধ করে তুলে।
যুদ্ধের পর নতুন করে অস্ত্র সংগ্রহ ও নিজস্ব অস্ত্র তৈরির পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিলেন তিনি। এমনকি মৃত্যুর পূর্বে তার উত্তরসূরী বর্তমান আলি খামেনিকেও এই সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
ইরানে ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে পাল্টে যায় ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক, নতুন ধর্মীয় নেতা ঘোষণা করেন ইহুদিবাদি ইসরায়েল তাদের প্রধান শত্রু। এদিকে ইরাক যুদ্ধের পর মোল্লা ও সরকারী নেতাদের ফতোয়া পাল্টে যায়! তারা ঘোষণা করে আত্মরক্ষার্থে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা যাবে। এরপর থেকে ইরান জোর দেয় সামরিক কর্মসূচিতে•••
পারমাণবিক কার্যক্রম
➽ ১৯৮৭ সালে প্রথম ইরান দুবাই শহরে একটি গোপন মিটিং করে, যেখানে সদস্য সংখ্যা ছিল আট জন। ৩ জন ইরানি, ২ জন পাকিস্তানি, ৩ জন ইউরোপীয় (যার মধ্যে 2 জন জার্মান)। এরপর থেকে গোপনে ব্যাপক হারে ইরানি ও পাকিস্তানি বিজ্ঞানীদের যাতায়াত শুরু হয়।কথিত আছে সেই মিটিঙে দুইজন পাকিস্তানির একজন ছিলেন পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক ড• আবদুল কাদির খান।
পরবর্তীতে শুরু হয় ইরানের বিশাল পরিমাণ ইউরেনিয়াম,সেন্ট্রিফিউজ, বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ।
১৯৮৯ সালে ইরানের অস্ত্রের নেশা আর সোভিয়েত ভাঙ্গন দুটোই যেন সময় মতোই সংঘটিত হয়। তখন কান পাতলেই শোনা যেত ভগ্ন সোভিয়েত থেকে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র সংগ্রহের খবর।
➽ নব্বইয়ের দশকে দুটি খবর বেরোয়; একটি হলো রাশিয়ার সাথে ইরানের বুশহর পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণে চুক্তি, অপরটি হলো চীনের সাথে দুইটি ছোট চুল্লি নির্মাণে চুক্তি সম্পাদন।
➽ ১৯৯৮ সালের ৮ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রকৃত ব্যাপ্তি ও বিশালতা বুঝতে পারে ইরানের স্বপক্ষ ত্যাগি বিজ্ঞানী ড• ইফতেখার খানের এফবিআইকে প্রদত্ত তথ্যের মাধ্যমে।মার্কিনিরা তথ্য যাচাই বাছাই করে এবং এই সম্পর্কে পদক্ষেপ নিতে ৪ বছর কাটিয়ে দেয়।
➽ ২০০২ সালে ইরানের বিরুদ্ধবাদী আন্ডারগ্রাউন্ড দল মুজাহিদিন আল খালক, আরাক ও নানতাজের দুটি প্রধান বড় পারমাণবিক চুল্লির খবর ফাঁস করে। এই সময়ে আন্ডারগ্রাউন্ড এক নেতা সিআইএকে একটি লেপটপ দেয়, যাতে পারমাণবিক কেন্দ্রের তথ্যে ঠাসা ছিল।
➽ ২০০৪ সালে পাকিস্তানের আবদুল কাদির খানের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক ফর্মুলা বিক্রির খবর চাউর হয়। কিছুদিন পর ক্রন্দনরত বিজ্ঞানী টিভিতে স্বীকার করে নেন যে, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানে পারমাণবিক ফর্মুলা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা তিনি আয় করেছেন।
➽ এবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল নড়েচড়ে বসে এবং নিজেদের পদক্ষেপ নির্ধারণ করে। পদক্ষেপ ছিল ইরানকে কোনমতেই পারমাণবিক বোমার অধিকারী হতে দেয়া যাবে না। ইসরায়েল যুদ্ধ এড়িয়ে পরমাণু কার্যক্রম ঠেকাতে যে পদক্ষেপ নেয় তা হলো চোরাগুপ্তা হামলা।
➽ ২০০৬ সালে ইরানের কেন্দ্রিয় পরমাণু কেন্দ্রের উৎসবমুখর একটি দিন। সেই দিনে সকল পরমাণু বিজ্ঞানীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়, এবং কার্যক্রমের নতুন সাফলতা ঘোষণারও প্রস্তুতি হয়। অনুষ্ঠানস্থল
পরিপূর্ণ হলে প্রধান কর্মকর্তা ফিতা টানলেন আনুষ্ঠানের উদ্ভোদন ঘোষণা করতে, সাথে সাথে শুরু হলো একের পর এক বিস্ফোরণ, ফলস্বরূপ দেখা গেলো সম্পূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হল।
➽ ২০০৭ সালের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডব্লিউ বুশ গোপন এক নির্দেশনায় সই করলেন, যেখানে ছিল যেকোন মূল্যে সিআইএকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বিলম্বিত করানোর নির্দেশ।
এর কিছুদিন পরই ইরানের সেন্ট্রিফিউজে
বিস্ফোরণের খবর প্রচার হয় গণমাধ্যমে।
একই বছর ড• আরশাদি নামক এক বিজ্ঞানীকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়; যিনি ছিলেন বিখ্যাত তড়িত চুম্বক গবেষক।তাঁর কর্মস্থল ছিল ইসফাহান সিক্রেট ইন্স্টলেশন, যেখানে অপরিশোধিত ইউরেনিয়ামকে গ্যাসে তৈরি করা হতো। মৃত্যুর দুই বছর আগে গবেষণায় সাফল্যের জন্য এই বিজ্ঞানীকে ইরানের সর্বোচ্চ খেতাব দেয়া হয়।
➽ এছাড়া ২০০৮ সালের বিভিন্ন ছোটখাট বিস্ফোরণ ও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য আরাক, ইসফাহান, বুশহর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কার্যক্রম যথেষ্ট বিলম্বিত হয়।
তবে ২০০৫ থেকে ২০০৮ এই তিন বছরে ইরান তাদের পবিত্র নগরী কোমে মাটির নিচে একটি পারমাণবিক কাঠামো তৈরি করে গোপনীয়তার সাথে। কিন্তু ইরান যখন বুঝতে পারে সিআইএ ও মোসাদ এটা জেনে গেছে, তখন তাদের দ্বারা হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গার আগেই তড়িঘড়ি করে বিশ্বে ইরান নিজেদের অবকাঠামোর কথা জানান দিল। এর একমাস পর সিআইএ প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বললেন, সিআইএ,বৃটিশ এমসিক্সটিন ও মোসাদ তিন বছর আগে থেকেই এই সম্পর্কে অবগত ছিল।
➽ ২০০৯ সালে ড• আমিরী নামক এক ইরানী পরমাণু বিজ্ঞানী সিআইএর প্রলোভনে স্বপক্ষ ত্যাগ করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সার্বিক অবস্থা অবগতকারী ব্যাপক তথ্য-উপাত্ত যুক্তরাষ্ট্রকে
হস্তান্তর করে।
➽ ২০১০ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ব্যাপক
ধস নামে। বিভিন্ন চুল্লিতে যন্ত্রাংশ বিকল হওয়া, সেন্ট্রিফিউজ ধ্বংস হওয়াসহ বিভিন্ন বিপর্যয় নেমে আসে। এর কারণ হলো সিআইএ ও ইসরায়েল কর্তৃক সৃষ্ট বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি থেকে ইরানের যন্ত্রাংশ ও সেন্ট্রিফিউজ ক্রয় করা। এটাকে ধোঁকাবাজি আখ্যা দিয়ে ইরান সেসব কোম্পানিকে আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে চেষ্টা করে এবং মামলা দায়ের করে। কিন্তু সিআইএ এর সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগে মামলা স্তিমিত হয় পরবর্তীতে।
➽ ২০১০ সালের ভয়ঙ্কর ঘটনা হলো ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের কম্পিউটারগুলোর
হঠাৎ অদ্ভুত আচরণ শুরু করা। কিন্তু সেগুলো ছিল বিশ্বের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ও অত্যাধুনিক কম্পিউটার যা সেন্ট্রিফিউজ নিয়ন্ত্রণে ব্যাবহার হতো।ইরান এই সমস্যাকে ছোট ক্ষতি বলে আখ্যা দিয়ে তুষ্ট হতে চেষ্টা করল। তবে এক বছর পর ২০১১ সালে ক্ষতির পরিমাণ স্বীকার করে ইরানের বিজ্ঞানীরা। তারা জানায় এটি ছিল বিশ্বের
অন্যতম ভয়ঙ্কর
সাইবার এটাক, যার ফলে ঐ কেন্দ্রের অর্ধেক সেন্ট্রিফিউজ ধ্বংস হয়ে যায়।
➽ এছাড়া ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর ড• মজিদ শাহরিয়ার নামক এক পরমাণু বিজ্ঞানীকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যিনি ছিলেন ইরানের পরমাণু প্রকল্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। একই বছর ইরানের পরমাণু উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখা ড• ফেরদাওন আব্বাসি ও বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও অন্যতম পরমাণু উপদেষ্টা মামুদ আলী মুহাম্মদিকে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে হত্যা করা হয়।
[তথ্যসূত্র:-ইসরায়েলের গোয়েন্দা জোহার ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মহাপরিচালক মিশাল।]
➽ পরিশেষে ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারী অবসরে যাওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলে যান যে, ইরানের পরমাণু
কর্মসূচি ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঠেকানো
গেছে। যার ফলস্বরূপ ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে লাগাম লাগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে বিশ্বের ছয় পরাশক্তি ইরানকে চুক্তিতে আবদ্ধ করে।
তবে ইরানও থেমে নেই, ২০০৪ সালে দশ জনকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করে যার তিনজন ছিল সিআইএ সদস্য। ২০০৬ সালে একজনকে তারা ফাঁসিতে ঝুলায়, পরবর্তীতে ২০১০ সালে আরো একজনকে ফাঁসি দেয়। এছাড়া এতো ধ্বংসের পরেও তারা অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে গড়ে তুলেছে ভুগর্ভস্থ পারমাণবিক কেন্দ্র, স্থাপন করেছে তিন হাজার সেন্ট্রিফিউজ। বিশ্বকে ধোঁকা দিতে করেছে কয়েকটি ভুয়া চুল্লি।
![]() |
ATOMIC HISTORY OF IRAN |
বর্তমান
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চুক্তি যথাযথ না হওয়ার যুক্তিতে চুক্তিটি থেকে বের হয়ে গেছেন, তার কারণ হলো চুক্তির ফাঁক ফোকর ব্যবহার করে ইরান অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যার খবর ইসরায়েলের গোয়েন্দারা মার্কিনিদের দিয়েছে। তবে তা জনসমক্ষে বলাটা হবে বাকি পাঁচ পরাশক্তিকে বোকা বলে সম্বোধন করা এবং তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়া।তাই ইরানের অর্থনীতি ভেঙ্গে দিয়ে পরমাণু অর্থায়নে সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসূচি বাঁধাগ্রস্ত করাই আপাত লক্ষ্য ট্রাম্পের, এবং নতুন চুক্তিটিতে তিনি নিজের পছন্দসই সর্বোচ্চ কঠোরতা ও পারমাণবিক নিরাপত্তা প্রয়োগ করতে চান।
কিন্তু
ইরান এখন আগের তুলনায় যথেষ্ট পরিপক্ব।গোয়ান্দাদের
ফাঁকি দেয়া,বিজ্ঞানীদের নিরাপত্তা দেয়া,ভঙ্গুর অর্থনীতিকে টেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে,তাই তারা এখন আরো একঘুঁয়ে আচরণ করছে।ঋণাত্মক জিডিপি নিয়েও তারা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল মিলিশিয়া বাহিনী পালনসহ নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
তাই বলা যায়,ইরানে সরকার পরিবর্তন ছাড়া তাদের কেউ বশে আনতে পারবে না;যা প্রায় অসম্ভব,কারণ এটি ধর্মীয় সরকার,আর ধর্ম মানুষের দুর্বলতম অনুভূতি।
🔛সিরিয়ার পারমাণবিক ইতিহাস
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.