ইয়স্তেন গার্ডার সোফি অ্যামুন্ডসেন। চৌদ্দ বছর বয়েসী এই নরওয়েজিয় কিশোরী একদিন বাসার ডাকবাক্সে উঁকি মেরে দেখতে পায় সেখানে কে যেন অবাক করা দুটো চিঠি রেখে গেছে। চিঠি দুটোতে শুধু দুটো প্রশ্ন লেখা : 'তুমি কে?' আর 'পৃথিবীটা কোথা থেকে এলো?
সোফির জগৎ
পাশ্চাত্য দর্শনের ইতাস নির্ভর এক অসাধারণ,বহুল পঠিত উপন্যাস।এটি এমন একটি বই,যেটিতে বিখ্যাত অনুবাদক জি এইচ হাবিব এবং ভূমিকা লেখক ড. হরেন্দ্র কান্তি দে মূল উপন্যাসের বাইরে নিজ থেকে বইয়ের শুরুতে কিছু অমূল্য রত্ন ঢেলে দিয়েছেন।
বইটি বহুল পঠিত এবং বিখ্যাত হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে।
#প্রথমত, বইটি উপন্যাসের ছলে লেখা।দর্শনকে পাঠকের নিকট উপস্থাপন করার একটি অভিনব ও দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা।
#দ্বিতীয়ত, প্রধান চরিত্রের বয়স চৌদ্দ বছর নির্ধারণ করেছেন লেখক।ফলে তাকে প্রতিটি বিষয় বোঝাতে সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করেছেন এবং যথেষ্ট উদাহরণ টেনেছেন বিষয়ভিত্তিক।
#তৃতীয়ত, বইটি শুধু উপন্যাস আকারেই লিখা নয়,এখানে রয়েছে রহস্যও,যার কারণে কৌতুহলের অভাবও থাকে না•••
এটি এমন একটি বই যেটি 53 টি ভাষায় অনূদিত এবং সাড়ে তিন কোটির বেশি বিক্রিত।
![]() |
সোফির জগৎ |
রিভিউ:
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের বইটি পড়া উচিত বলে মনেকরি,কেননা অধিকাংশ বিভাগেই পড়তে হয় সেই গ্রীক মনীষীদের জীবনি,তত্ত্ব।উপন্যাসের ছলে যদি তিন হাজার বছরের ইতিহাস,আবিষ্কার,তত্ত্ব,ধারণা সবকিছু শিখতে পারি,তাহলে কোথাও নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতে কখনো ভয় লাগবে না আশাকরি•••
অন্য ডিপার্টমেন্টের/বিভাগের জ্ঞান না থাকলে কিছুটা লজ্জিত হই,কিন্তু যখন নিজের বিভাগের পড়াশোনা নিয়ে কোন ইন্টারভিউতে আটকে যাই,তখন শিক্ষকরাই লজ্জা দেন।
সামনে ঈদের বন্ধে অনেকে বিভিন্ন ধরণের বইয়ের সাজেশন চায়,তাদের জন্য এটি বেস্ট বলে মনেকরি।
সবশেষে একটি কথা•••
"#তিন_হাজার_বছর_যে_কাজে_লাগাতে_পারে_না_তার_জীবন_অর্থহীন"--গ্যেটে
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.