কোন অঞ্চল বা দেশের জন্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা হল অন্যতম মৌলিক উপাদান।যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে উক্ত অঞ্চলের জমির মূল্য থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার মান উর্ধ্বমূখি হয়,যা আমরা প্রাত্যহিক জীবনে দেখতে পাই।দেখা যায়,কোন অঞ্চলে সরকারের বড় কোন প্রকল্প বরাদ্দ হলে,রাস্তা সংস্কার কিংবা সেতু নির্মাণ হলে হঠাৎ জমির দাম তিন থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পায়,এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, একটি অঞ্চল এবং সেখানকার মানুষের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
যোগাযোগ খাতে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ দুটি প্রকল্প হলো পদ্মাসেতু ও ঢাকার মেট্রোরেল।সুতরাং দেশের অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে উপর্যুক্ত দুটি প্রকল্পকে।কেননা ভবিষ্যৎ অর্থনীতি এবং তাতে আমাদের ভূমিকা ব্যক্ত করতে গেলে,রাজধানীর মেট্রোরেল এবং পদ্মাসেতুকে বাদ দিয়ে কিছু বলতে পারবেন না;আপনাকে এগুলো সম্পর্কে জানতেই হবে•••
আমি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতে ভালবাসি বিধায় তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে জানা আমার একটা শখ•••
আর জীবনযাত্রা এমন কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় যার প্রভাবে প্রভাবিত হয় সমাজ ও রাষ্ট্র।
এক পোস্টে দুটি বিষয়ে লেখা সম্ভব নয় বিধায় আমি মেট্রোরেল ও তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব আজ।
আমরা হয়ত চিন্তা করতে পারি যে,যাতায়াতের সুবিধা তথা পদ্মাসেতুর কারণে দেশের উত্তারঞ্চলে শিল্পায়ন হবে,বড় বড় কারখানা হবে যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে দ্রততর করবে।কিন্তু মেট্রোরেলও সমান ভূমিকা রাখবে,যা আমরা সরল দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি না•••
2016 সালের জুনে শুরু হওয়া 20,10 কি.মি. ব্যাপী মেট্রোরেল প্রকল্পটি এই বছরের শেষের দিকে চালু হতে যাচ্ছে।অর্থনীতিতে এই প্রকল্পের ভূমিকা জানতে হলে আমাদের যে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ সম্পর্কে অবগত হওয়া দরকার তা তুলে ধরছি•••
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট(MRT) নামক এই প্রকল্পটি 2012 থেকে 2024 সাল পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি 2016 সালে শুরু করে 2019 সালেই উদ্বোধন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে ইতিহাস রচনাকারী এই মেট্রোরেল প্রতি ঘন্টায় 60,000 যাত্রী বহন করবে এবং প্রতি চার মিনিট পর পর একটি ট্রেন 1800 যাত্রী নিয়ে রওনা হয়ে দৈনিক 24 টি ট্রেন 5,00,000 যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছাবে।16 টি স্টেশনের প্রতিটিতে দাড়াবে মাত্র 40 সেকেন্ড।ফুটপাত থেকে এসকেলেটর বা সিঁড়ির মাধ্যমে এই ট্রেনে উঠা যাবে।যেখানে 2,3 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে 3,4 ঘন্টা সময় লাগে,সেখানে এই রেল ঢাকা শহরেরে গুরুত্বপূর্ণ 20 কি.মি. পথ পাড়ি দেবে মাত্র 38 মিনিটে!
এই রেল চলতে প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে 13 মেগাওয়াট যার যোগানে নিয়েজিত থাকবে পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।
জ্যামের শহর ঢাকাতে দশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে যেখানে সকালে বের হলে দুপুরে পৌঁছাতে হয়,সেই শহরবাসী এখন যাতায়াতে ঘন্টার হিসাব থেকে বেরিয়ে মিনিটের হিসাবে পা রাখতে যাচ্ছে।আপনি স্বীকার করুন আর না করুন,রাজধানী হওয়াতে আধুনিক যুগেও আমাদেরকে চাকরীর পরীক্ষাসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ
যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সার্বিক উন্নতি
যোগাযোগ খাতে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ দুটি প্রকল্প হলো পদ্মাসেতু ও ঢাকার মেট্রোরেল।সুতরাং দেশের অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে উপর্যুক্ত দুটি প্রকল্পকে।কেননা ভবিষ্যৎ অর্থনীতি এবং তাতে আমাদের ভূমিকা ব্যক্ত করতে গেলে,রাজধানীর মেট্রোরেল এবং পদ্মাসেতুকে বাদ দিয়ে কিছু বলতে পারবেন না;আপনাকে এগুলো সম্পর্কে জানতেই হবে•••
আমি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতে ভালবাসি বিধায় তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে জানা আমার একটা শখ•••
আর জীবনযাত্রা এমন কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় যার প্রভাবে প্রভাবিত হয় সমাজ ও রাষ্ট্র।
এক পোস্টে দুটি বিষয়ে লেখা সম্ভব নয় বিধায় আমি মেট্রোরেল ও তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব আজ।
আমরা হয়ত চিন্তা করতে পারি যে,যাতায়াতের সুবিধা তথা পদ্মাসেতুর কারণে দেশের উত্তারঞ্চলে শিল্পায়ন হবে,বড় বড় কারখানা হবে যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে দ্রততর করবে।কিন্তু মেট্রোরেলও সমান ভূমিকা রাখবে,যা আমরা সরল দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি না•••
![]() |
যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সার্বিক উন্নতি |
2016 সালের জুনে শুরু হওয়া 20,10 কি.মি. ব্যাপী মেট্রোরেল প্রকল্পটি এই বছরের শেষের দিকে চালু হতে যাচ্ছে।অর্থনীতিতে এই প্রকল্পের ভূমিকা জানতে হলে আমাদের যে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ সম্পর্কে অবগত হওয়া দরকার তা তুলে ধরছি•••
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট(MRT) নামক এই প্রকল্পটি 2012 থেকে 2024 সাল পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি 2016 সালে শুরু করে 2019 সালেই উদ্বোধন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে ইতিহাস রচনাকারী এই মেট্রোরেল প্রতি ঘন্টায় 60,000 যাত্রী বহন করবে এবং প্রতি চার মিনিট পর পর একটি ট্রেন 1800 যাত্রী নিয়ে রওনা হয়ে দৈনিক 24 টি ট্রেন 5,00,000 যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছাবে।16 টি স্টেশনের প্রতিটিতে দাড়াবে মাত্র 40 সেকেন্ড।ফুটপাত থেকে এসকেলেটর বা সিঁড়ির মাধ্যমে এই ট্রেনে উঠা যাবে।যেখানে 2,3 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে 3,4 ঘন্টা সময় লাগে,সেখানে এই রেল ঢাকা শহরেরে গুরুত্বপূর্ণ 20 কি.মি. পথ পাড়ি দেবে মাত্র 38 মিনিটে!
জ্যামের শহর ঢাকাতে দশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে যেখানে সকালে বের হলে দুপুরে পৌঁছাতে হয়,সেই শহরবাসী এখন যাতায়াতে ঘন্টার হিসাব থেকে বেরিয়ে মিনিটের হিসাবে পা রাখতে যাচ্ছে।আপনি স্বীকার করুন আর না করুন,রাজধানী হওয়াতে আধুনিক যুগেও আমাদেরকে চাকরীর পরীক্ষাসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.