রিয়াদের উপকন্ঠে একটি ভবন খুব দ্রুত সৌদি আরবের পারমাণবিক শক্তির জন্মস্থানে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটি এমন একটি উদ্যোগ যা মার্কিন কংগ্রেসের উদ্বেগের ও ইরানের ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে! আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা স্যাটেলাইট থেকে সংগৃহিত ছবির বর্ণনায় বলছে, মাত্র তিন মাস আগে ঘোষণা দেয়া সৌদি আরবের পরমাণু চুল্লির পরীক্ষামূলক কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে। এবং বর্তমান গতিতে এগিয়ে চললে আগামী নয় মাসে চুল্লি তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু কর্মসূচি
সৌদি আরব যদিও বারবার বলছে,তাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ;কিন্তু যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কথায় তা মনে হচ্ছে না।তিনি গত বছর বলেছিলেন,"কোন সন্দেহ নেই,ইরান যদি পারমাণবিক বোমা তৈরি করে থাকে তাহলে আমরাও তাদের অনুসরণ করব।"
এছাড়াও কঠিন শর্তের অধীনে অন্য দেশ থেকে আমদানি করার পরিবর্তে তাদের নিজেদের পারমাণবিক জ্বালানি নিজেদের মতো করে উৎপাদন করতে দেয়া উচিত--সৌদির এমন বক্তব্যের পর মার্কিন কংগ্রেস অনেকটা নড়েচড়ে বসেছে।
সৌদি আরব নয় বছর আগে পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করলেও বর্তমানে এটি যুবরাজের ভিশন 2030 এর একটি অংশ। তিনি শুধু তেলের উপর সৌদির নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতেই এমন অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছেন হয়ত।কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টেলিভিশনে,সৌদি আরব পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে আবর্ভূত হবে,এটি গ্রহণযোগ্য কিনা;এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন,"আমরা তা হতে দিতে পারি না।আমরা কখনো 150 মিলিয়ন ডলারের চেক লিখব না এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে হুমকি দেয়ার ক্ষমতা তাদের হাতে দেব না।"
![]() |
মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু কর্মসূচি |
আবার এক্ষেত্রে ইরানের অভিযোগ হল,পর্যাপ্ত রক্ষাকবচ ছাড়াই ট্রাম্প প্রশাসন পারমাণবিক প্রযুক্তি বিক্রির পরিকল্পনা করেছে।ইরানের ন্যাশনাল সুপ্রিম সিকিউরিটি জানিয়েছে,সৌদি আরব যদি তার পারমাণধিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যায়,তাহলে তা তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলকে পূনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করবে!
সৌদি আরবের জ্বালানি কৌশল যাই হোক না কেন,পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা নেই বলে দেশটি যতই চেঁচাক না কেন,সেখানকার পারমাণবিক কর্মসূচির অস্তিত্ব উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে বাধ্য এবং তাই হচ্ছে•••
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.