বর্তমানের সবচেয়ে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো কাশ্মির। যার ফলস্বরূপ হয়ত আমাদের এই শান্তির এশিয়া লাশের রাজ্য মধ্যপ্রাচ্যে পরিণত হতে পারে। কারণ ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের তত্ত্বাবধায়করাই এবারের যুদ্ধ পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াবে বলে নিশ্চিত করেছে।
কাশ্মির ইস্যুতে সাপোর্ট পেতে দুই দেশই জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কুটনৈতিকমহলে। আমাদেরকে এটা স্বীকার করতে হবে যে, বিশ্বরাজনীতিতে একধাপ এগিয়ে রয়েছে ভারত। এর অন্যতম কারণ হল ভারতের উদ্ভাবনি শক্তি, বিনিয়োগের সুযোগ, সঠিক পরিকল্পনার ফলে বিশ্ববাণিজ্যে নিজের পোক্ত অবস্থান এবং এর সুযোগ সন্ধানী কিছু সম্রাজ্যবাদী শক্তি।বিপরীতে পাকিস্তানের রয়েছে পঙ্গু অর্থনীতি এবং কিছু প্রভাবশালী মিত্র দেশ।
হাউডি মোদি
কাশ্মির ইস্যুতে সাপোর্ট পেতে দুই দেশই জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কুটনৈতিকমহলে। আমাদেরকে এটা স্বীকার করতে হবে যে, বিশ্বরাজনীতিতে একধাপ এগিয়ে রয়েছে ভারত। এর অন্যতম কারণ হল ভারতের উদ্ভাবনি শক্তি, বিনিয়োগের সুযোগ, সঠিক পরিকল্পনার ফলে বিশ্ববাণিজ্যে নিজের পোক্ত অবস্থান এবং এর সুযোগ সন্ধানী কিছু সম্রাজ্যবাদী শক্তি।বিপরীতে পাকিস্তানের রয়েছে পঙ্গু অর্থনীতি এবং কিছু প্রভাবশালী মিত্র দেশ।
পাকিস্তানের খুঁটি হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও এবার স্বার্থগত কারণে সুর পাল্টে ফেলেছে পাকিস্তানের প্রতি, যার সর্ববৃহৎ প্রমাণ দিল কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া HOWDY MODI সম্মেলন। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অন্য কোন রাষ্ট্রনায়ককে সংবর্ধনা দেয়ার ক্ষেত্রে এটি সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান। পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠিত এই সর্ববৃহৎ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন ৫০ হাজার ভারতীয়,যেখানে পুরো অনুষ্ঠানব্যাপীই ছিল ভারতীয় সংস্কৃতির আধিপত্য।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে যেখানে অন্য প্রধানমন্ত্রীরা কয়েক মিনিট কাটাবার সময় পান,সেখানে ট্রাম্প পাক্কা দুই ঘন্টা সম্মেলনে ব্যয় করেন মোদির সাথে! বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে এই দুই নেতা একসাথে হাত ধরে স্টেজে আগমন করেন এবং ঘন ঘন করমর্দন ও কুটনৈতিক শিষ্টাচারের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যত সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত দেন। এই দুই নেতা যথারীতি বিশাল জনসভা এবং তাদের গুণকীর্তি শোনার ভক্ত যা তারা উক্ত অনুষ্ঠানে উপভোগ করেছেন।
মোদি তার বক্তব্যে নিজ দলের রাজনৈতিক শ্লোগানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশ ট্রাম্প সরকারের নামে ব্যবহার করেন, তা হলো "আপ কি বার,ট্রাম্প সারকার"। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট চান মোদি। ট্রাম্পও নিজের পক্ষে ভোট সংগ্রহের একটি বিশাল ক্ষেত্র হিসেবে আবিষ্কার করেন এই অনুষ্ঠানকে।
পর্যালোচনা:- বিশেষজ্ঞদের মতে,ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয়দের অবস্থান এবং ভারতে অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেই সুর পাল্টেছে। এটি আরো স্পষ্ট হয় যখন তিনি বলেন "উগ্রবাদী মুসলিমদের আক্রমণ থেকে বিশ্বকে হুমকিমুক্ত রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ"। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের টুইন টাওয়ার ও ভারতে টুয়েন্টি-সিক্স ইলেভেনের মুম্বাই হামলার হোতা বলে পাকিস্তানের দিকেই ইঙ্গিত করেন মোদি। প্রত্যুত্তরে মার্কিন প্রেসেডেন্টের কাশ্মির বিষয়ক মন্তব্য "বৈচিত্রেই আমেরিকার মূল চালিকাশক্তি"; অনেক বেশি তাৎপর্যবহূল বলেই মনে হচ্ছে।
মোদির নিউয়র্ক সফরের শুরুটাই এত বিশাল অর্জন দিয়ে শরু হবে বলে অনেকেই আশা করেননি, তবে জতিসংঘ সম্মেলন শেষ হওয়া পর্যন্ত কী ঘটে সেটাই দেখার বিষয় এখন•••
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.